আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম, Chapter: 30, আর রূম (রোম সাম্রাজ্য) - Aajan.com

Go Back
Book Id: 10030

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম

Chapter: 30, আর রূম (রোম সাম্রাজ্য)



মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৬০, রুকু সংখ্যা: ০৬

এই সূরার আলোচ্যসূচি

আয়াতআলোচ্য বিষয়
০১-০৬ :রোম সাম্রাজ্যের পরাজয় এবং বিজয় সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী।
০৭-১৯তাওহীদ ও আখিরাতের পক্ষে যুক্তি।
২০-২৯মানুষের জন্যে আল্লাহর বিভিন্ন অনুগ্রহের বিবরণ এবং সেগুলো আল্লাহর একত্বের নিদর্শন।
৩০-৪০উপদেশ, নসিহত। শিরকের খন্ডণ।
৪১-৬০পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি হবার কারণ মানুষের মন্দকর্ম। মানুষের মুক্তির উপায় এক আল্লাহর আনুগত্য। পুনরুত্থানের পক্ষে যুক্তি। কুরআনে সব বিষয়ের উপদেশ দেয়া হয়েছে।
30-1 : আলিফ লাম মিম।
30-2 : রোমানরা পরাজিত হয়েছে
30-3 : নিকটবর্তী ভূ - খন্ডে, তবে তারা তাদের পরাজয়ের পর অচিরেই আবার বিজয়ী হবে
30-4 : কয়েক (তিন থেকে নয়) বছরের মধ্যেই। সব বিষয়ে ফায়সালার এখতিয়ার আল্লাহরই ইতোপূর্বেও এবং পরেও। সেদিন মুমিনরা হবে উৎফুল্ল।
30-5 : আল্লাহ্ নিজ সাহায্যে যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন। তিনি মহাশক্তিধর, পরম করুণাময়।
30-6 : এটা আল্লাহর ওয়াদা। আল্লাহ্ খেলাফ করেননা তাঁর ওয়াদা। তবে, অধিকাংশ মানুষই জানেনা।
30-7 : তারা দুনিয়ার জীবনের বাহ্যিক দিকটাই জানে, আর আখিরাত সম্পর্কে তারা একেবারেই গাফিল - অজ্ঞ।
30-8 : তারা কি নিজেদের মনে মনে ভেবে দেখেনা, মহাকাশ, এই পৃথিবী আর এ দুয়ের মাঝখানে যা কিছু আছে এসবই আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে? অনেক মানুষই তাদের প্রভুর সাক্ষাত লাভের বিষয়ে অবিশ্বাসী।
30-9 : তারা কি পৃথিবী পরিভ্রমণ করে দেখেনা, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণতি কী হয়েছিল? শক্তিতে তারা ছিলো এদের চাইতে দুর্ধর্ষ। তারা জমিন চাষ করতো এবং তা আবাদ করতো এদের আবাদ করার চাইতে অধিক রকম। তাদের কাছে এসেছিল তাদের রসূলরা সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি নিয়ে। আল্লাহ্ তাদের প্রতি যুলুমকারী নন, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছে।
30-10 : তারপর যারা মন্দ কাজ করেছিল তাদের পরিণাম মন্দই হয়েছিল, কারণ তারা মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল আমাদের আয়াত এবং তারা তা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছিল।
30-11 : আল্লাহ্ই সূচনা করেন সৃষ্টির, তারপর তিনি পুন:সৃষ্টি করেন, তারপর তোমাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে তাঁরই কাছে।
30-12 : আর যেদিন কায়েম হবে কিয়ামত, সেদিন হতাশ - হতবাক হয়ে পড়বে অপরাধীরা।
30-13 : সেদিন তাদের (মনগড়া) দেবদেবীরা তাদের জন্যে সুপারিশকারী হবেনা এবং তারা তাদের দেবদেবীদের সেদিন প্রত্যাখ্যান করবে।
30-14 : যেদিন কিয়ামত হবে সেদিন সব মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।
30-15 : তবে যারা ঈমান আনবে এবং আমলে সালেহ্ করবে, তারা থাকবে জান্নাতে আনন্দে উৎফুল্লে।
30-16 : আর যারা কুফুরি করবে এবং প্রত্যাখ্যান করবে আমাদের আয়াত ও আখিরাতের সাক্ষাত, তাদেরই হাজির রাখা হবে আযাবে।
30-17 : সুতরাং সকাল ও সন্ধ্যায় তোমরা ‘সুবহানাল্লাহ’ (আল্লাহর তসবিহ্) ঘোষণা করো।
30-18 : সমস্ত প্রশংসা তাঁরই মহাবিশ্বে এবং পৃথিবীতে, আর (সুবহানাল্লাহ ঘোষণা করো) অপরাহ্নে ও যুহরের সময়ও।
30-19 : তিনি বের করেন মৃত থেকে জীবিতকে এবং জীবিত থেকে মৃতকে। মরে শুকিয়ে যাবার পর তিনিই জমিনকে জীবিত করেন, আর এভাবেই তোমাদের বের করে আনা হবে (মাটির নীচে থেকে)।
30-20 : তাঁর একটি নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন তারপর এখন তোমরা সেই মানুষই ছড়িয়ে পড়েছো সবখানে।
30-21 : তাঁর আরেকটি নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের থেকেই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্যে জুড়ি (স্বামী - স্ত্রী), যাতে করে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করো। এ উদ্দেশ্যে তিনি তোমাদের মাঝে সৃষ্টি করে দিয়েছেন বন্ধুতা - ভালবাসা এবং দয়া - অনুকম্পা। এতে রয়েছে অনেক নিদর্শন চিন্তাশীল লোকদের জন্যে।
30-22 : তাঁর আরেকটি নিদর্শন হলো মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা। এতেও রয়েছে অনেক নিদর্শন জ্ঞানী লোকদের জন্যে।
30-23 : তাঁর আরো একটি নিদর্শন হলো রাত এবং দিনের বেলায় তোমাদের ঘুম আর আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে তোমাদের (জীবিকা) অন্বেষণ। এতেও রয়েছে অনেক নিদর্শন মনোযোগী লোকদের জন্য।
30-24 : তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আরো রয়েছে, তিনি তোমাদের দেখান বিদ্যুতের চমকানি, তাতে থাকে তোমাদের ভয় এবং আশা, তারপর তিনি নাযিল করেন আসমান থেকে পানি আর তা দিয়ে জীবিত করেন মরা জমিন। নিশ্চয়ই এতে রয়েছে অনেক নিদর্শন বুঝ - বুদ্ধি সম্পন্ন লোকদের জন্যে।
30-25 : তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আরো রয়েছে, তাঁর নির্দেশেই কায়েম রয়েছে আসমান ও জমিন। তারপর আল্লাহ্ যখন তোমাদের জমিন থেকে উঠে আসার জন্যে ডাক দেবেন একটিমাত্র ডাক, তখন তোমরা সাথে সাথে উঠে আসবে।
30-26 : মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। প্রত্যেকেই তাঁর প্রতি বিনত।
30-27 : তিনি সেই মহান সত্তা যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন এবং সেটা হবে তাঁর জন্যে একেবারেই সহজ। মহাকাশ এবং পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা কেবল তাঁর। তিনি মহাশক্তিধর, মহাবিজ্ঞানী।
30-28 : তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের নিজেদের থেকেই একটি দৃষ্টান্ত পেশ করছেন: তোমাদেরকে আমরা যে রিযিক দিয়েছি, তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস - দাসীদের কেউ কি তাতে অংশীদার? এবং তোমরা এই অংশীদারিত্বের ব্যাপারে কি সমান অধিকারী? তোমরা কি তাদেরকে সে রকম ভয় করো যে রকম তোমাদের পরস্পরকে ভয় করো? এভাবেই আমরা আয়াত বর্ণনা করি তফসিলসহ সমুঝদার লোকদের জন্যে।
30-29 : বরং যালিমরা না জেনে শুনে তাদের খেয়াল খুশিরই অনুগামী হয়ে চলছে। আল্লাহ্ যাকে বিপথগামী করে দেন, কে তাকে সঠিক পথে চালাবে? আর তাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারীই থাকবেনা।
30-30 : তুমি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে দীনের জন্যে কায়েম করো। আল্লাহর ফিতরতের (প্রকৃতির) উপর প্রতিষ্ঠিত হও, যে ফিতরতের উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টি - প্রকৃতির কোনো পরিবর্তন হয়না। এটাই সঠিক সুষম দীন। তবে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।
30-31 : বিনীত হৃদয়ে তাঁর অভিমুখী হও এবং তাঁকে ভয় করো, সালাত কায়েম করো আর মুশরিকদের অন্তরভুক্ত হয়োনা।
30-32 : যারা নিজেদের দীনের মধ্যে বিভিন্ন মত সৃষ্টি করেছে, তারা বিভিন্ন দলে - উপদলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মত নিয়ে উৎফুল্ল।
30-33 : মানুষকে যখন দুঃখ - দুর্দশা স্পর্শ করে, তখন তারা তাদের প্রভুকে ডাকে তাঁর প্রতি বিনীত হয়ে। আবার যখন তিনি তাদেরকে তাঁর অনুগ্রহের কিছু স্বাদ আস্বাদন করান, তখন তাদের একদল তাদের প্রভুর সাথে শিরক করতে থাকে,
30-34 : তাদেরকে আমরা যা দিয়েছি তার প্রতি কুফুরি করার জন্যে। সুতরাং ভোগ বিলাস করে নাও, শীঘ্রি তোমরা জানতে পারবে (এর পরিণতি)।
30-35 : নাকি আমরা তাদের কাছে কোনো সনদ পাঠিয়েছি এবং সেটি আল্লাহর সাথে শিরক করার ব্যাপারে তাদের পক্ষে কথা বলে?
30-36 : যখনই আমরা মানুষকে আমাদের অনুগ্রহের কিছু স্বাদ আস্বাদন করাই, তখন তারা উৎফুল্ল হয়ে উঠে। আবার তাদেরকে যখন কোনো দুঃখ - দুর্দশা স্পর্শ করে তাদের কৃতকর্মের কারণে, তখন তারা হয়ে পড়ে নিরাশ।
30-37 : তারা কি দেখেনা, আল্লাহ্ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করে দেন এবং (যাকে ইচ্ছা) সীমিত করে দেন? এতেও বিশ্বাসীদের জন্যে রয়েছে অনেক নিদর্শন।
30-38 : অতএব, আত্মীয়দের দিয়ে দাও তাদের হক এবং মিসকিন (অভাবী) আর পথিকদেরকেও। এটাই কল্যাণকর সেইসব লোকদের জন্যে যারা এরাদা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের, আর তারাই হবে সফলতা অর্জনকারী।
30-39 : মানুষের অর্থ - সম্পদে বৃদ্ধি পাওয়ার উদ্দেশ্যে তোমরা যে সূদ দিয়ে থাকো, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা অর্থ - সম্পদ বৃদ্ধি করেনা। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তোমরা যে যাকাত দিয়ে থাকো, তাই বৃদ্ধি পায় এবং তারাই বৃদ্ধিকারী।
30-40 : আল্লাহ্, তিনিই তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাদের রিযিক দিয়েছেন, তারপর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, তারপর তোমাদের পুনরায় জীবিত করবেন। তোমরা যাদেরকে আল্লাহর শরিকদার বানিয়েছো, তাদের কেউ কি এসবের কিছু করতে পারে? তারা যাদেরকে আল্লাহর শরিক বানায়, আল্লাহ্ তা থেকে পবিত্র, মহান।
30-41 : বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে স্থলে ও সমুদ্রে মানুষের কর্মফলে, এরি মাধ্যমে আল্লাহ্ তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি তাদের আস্বাদন করান, যাতে করে তারা ফিরে আসে।
30-42 : বলো: পৃথিবীতে ভ্রমণ করে দেখো, তোমাদের আগেকার লোকদের কী পরিণতি হয়েছিল? তাদের অধিকাংশই ছিলো মুশরিক।
30-43 : তুমি নিজেকে কায়েম করো সঠিক সুষম দীনের উপর সেই দিনটি আসার আগেই, আল্লাহর পক্ষ থেকে যে দিনটির আগমন কেউই রুখতে পারবেনা। সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।
30-44 : যে কুফুরি করে, তারই উপর পড়বে কুফুরির শাস্তি। আর যারা আমলে সালেহ্ করে তারা নিজেদের জন্যেই রচনা করে সুখশয্যা।
30-45 : যাতে করে, যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে তাদেরকে আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহে পুরস্কৃত করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফিরদের পছন্দ করেন না।
30-46 : তাঁর নিদর্শনাবলির একটি হলো, তোমাদেরকে সুসংবাদ দেয়ার জন্যে এবং তোমাদেরকে তাঁর রহমত থেকে আস্বাদন করানোর জন্যে তিনি বাতাস পাঠান, এছাড়া তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী যেনো নৌযানগুলো চলাচল করে এবং তোমরা যেনো শোকর আদায় করতে পারো।
30-47 : তোমার আগে আমরা বহু রসূল পাঠিয়েছি তাদের নিজ নিজ কওমের কাছে। তারা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি নিয়ে এসেছিল। তারপর আমরা অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ নিয়েছিলাম। আর মুমিনদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।
30-48 : আল্লাহ্ই বাতাস পাঠান, তা মেঘমালাকে উড়িয়ে নিয়ে চলে, তারপর তিনি এগুলোকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন। পরে এগুলো খন্ড খন্ড করেন এবং তুমি দেখতে পাও সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসে বারিধারা, তখন তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছে তা পৌঁছে দেন, তখন তারা হয়ে উঠে চরম আনন্দিত।
30-49 : যদিও ইতোপূর্বে বৃষ্টি নাযিলের আগে তারা ছিলো হতাশ।
30-50 : অতএব আল্লাহর রহমতের প্রভাব সম্পর্কে চিন্তা করো, তিনি কিভাবে জমিনকে মরে (শুকিয়ে) যাবার পর আবার জীবিত করেন। এভাবেই তিনি মৃতদের জীবিত করবেন। তিনি প্রতিটি বিষয়ে শক্তিমান।
30-51 : আমরা যদি এমন বাতাস পাঠাই যার ফলস্বরূপ তারা দেখে শস্য হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে, তখন তারা অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়ে।
30-52 : তুমি মৃতকে শুনাতে পারবেনা, বধিরকেও পারবেনা তোমার আহবান শুনাতে, যেহেতু তারা মুখ ফিরিয়ে চলে যায়।
30-53 : তুমি অন্ধদের সঠিক পথে আনতে পারবেনা তাদের বিপথগামিতা থেকে। তুমি তো শুনাতে পারবে তাদেরকেই, যারা ঈমান আনে আমাদের আয়াতের প্রতি, তারপর আত্মসমর্পণ করে দেয়।
30-54 : আল্লাহ্, তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেন দুর্বল অবস্থায়। তারপর দুর্বলতার পরে দেন শক্তি। শক্তির পর পুনরায় দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনি সর্বজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান।
30-55 : যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন অপরাধীরা কসম খেয়ে বলবে: তারা ঘণ্টাখানেকের বেশি অবস্থান করেনি। এভাবেই তারা (দুনিয়ার জীবনেও) হতো সত্যভ্রষ্ট।
30-56 : যাদেরকে এলেম এবং ঈমান দেয়া হয়েছে, তারা বলবে: তোমরা আল্লাহর রেকর্ড অনুযায়ী পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করেছো। আজ সেই পুনরুত্থান দিবস। কিন্তু তোমরা ছিলে অজ্ঞ।
30-57 : সেদিন যালিমদের ওজর আপত্তি কোনো কাজে আসবেনা এবং তাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভেরও সুযোগ দেয়া হবেনা।
30-58 : আমরা মানুষের জন্যে এ কুরআনে সব ধরনের দৃষ্টান্ত দিয়েছি। তুমি যদি তাদের সামনে কোনো নিদর্শন হাজিরও করো, কাফিররা অবশ্যি বলবে: ‘তোমরা মিথ্যা বাতিল নিয়ে এসেছো।’
30-59 : এভাবেই আল্লাহ্ অজ্ঞ লোকদের অন্তরে সীলমোহর মেরে দেন।
30-60 : অতএব, সবর অবলম্বন করো, অবশ্যি আল্লাহর ওয়াদা সত্য। যারা একীন রাখেনা, তারা যেনো তোমাকে (আহবান জানানোর কাজ থেকে) টলাতে না পারে।