আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, মুহিউদ্দীন খান, Chapter: 68, আল কালাম - Aajan.com

Go Back
Book Id: 10050

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, মুহিউদ্দীন খান

Chapter: 68, আল কালাম

68-1 : নূন। শপথ কলমের এবং সেই বিষয়ের যা তারা লিপিবদ্ধ করে,
68-2 : আপনার পালনকর্তার অনুগ্রহে আপনি উম্মাদ নন।
68-3 : আপনার জন্যে অবশ্যই রয়েছে অশেষ পুরস্কার।
68-4 : আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।
68-5 : সত্ত্বরই আপনি দেখে নিবেন এবং তারাও দেখে নিবে।
68-6 : কে তোমাদের মধ্যে বিকারগ্রস্ত।
68-7 : আপনার পালনকর্তা সম্যক জানেন কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি জানেন যারা সৎপথ প্রাপ্ত।
68-8 : অতএব, আপনি মিথ্যারোপকারীদের আনুগত্য করবেন না।
68-9 : তারা চায় যদি আপনি নমনীয় হন, তবে তারাও নমনীয় হবে।
68-10 : যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।
68-11 : যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে ফিরে।
68-12 : যে ভাল কাজে বাধা দেয়, সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ,
68-13 : কঠোর স্বভাব, তদুপরি কুখ্যাত;
68-14 : এ কারণে যে, সে ধন - সম্পদ ও সন্তান সন্ততির অধিকারী।
68-15 : তার কাছে আমার আয়াত পাঠ করা হলে সে বলে; সেকালের উপকথা।
68-16 : আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দিব।
68-17 : আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি, যেমন পরীক্ষা করেছি উদ্যানওয়ালাদের, যখন তারা শপথ করেছিল যে, সকালে বাগানের ফল আহরণ করবে,
68-18 : ইনশাআল্লাহ না বলে।
68-19 : অতঃপর আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে বাগানে এক বিপদ এসে পতিত হলো। যখন তারা নিদ্রিত ছিল।
68-20 : ফলে সকাল পর্যন্ত হয়ে গেল ছিন্নবিচ্ছিন্ন তৃণসম।
68-21 : সকালে তারা একে অপরকে ডেকে বলল,
68-22 : তোমরা যদি ফল আহরণ করতে চাও, তবে সকাল সকাল ক্ষেতে চল।
68-23 : অতঃপর তারা চলল ফিসফিস করে কথা বলতে বলতে,
68-24 : অদ্য যেন কোন মিসকীন ব্যক্তি তোমাদের কাছে বাগানে প্রবেশ করতে না পারে।
68-25 : তারা সকালে লাফিয়ে লাফিয়ে সজোরে রওয়ানা হল।
68-26 : অতঃপর যখন তারা বাগান দেখল, তখন বললঃ আমরা তো পথ ভূলে গেছি।
68-27 : বরং আমরা তো কপালপোড়া,
68-28 : তাদের উত্তম ব্যক্তি বললঃ আমি কি তোমাদেরকে বলিনি? এখনও তোমরা আল্লাহ তা’আলার পবিত্রতা বর্ণনা করছো না কেন?
68-29 : তারা বললঃ আমরা আমাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, নিশ্চিতই আমরা সীমালংঘনকারী ছিলাম।
68-30 : অতঃপর তারা একে অপরকে ভৎর্সনা করতে লাগল।
68-31 : তারা বললঃ হায়! দুর্ভোগ আমাদের আমরা ছিলাম সীমাতিক্রমকারী।
68-32 : সম্ভবতঃ আমাদের পালনকর্তা পরিবর্তে এর চাইতে উত্তম বাগান আমাদেরকে দিবেন। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে আশাবাদী।
68-33 : শাস্তি এভাবেই আসে এবং পরকালের শাস্তি আরও গুরুতর; যদি তারা জানত!
68-34 : মোত্তাকীদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে নেয়ামতের জান্নাত।
68-35 : আমি কি আজ্ঞাবহদেরকে অপরাধীদের ন্যায় গণ্য করব?
68-36 : তোমাদের কি হল ? তোমরা কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ?
68-37 : তোমাদের কি কোন কিতাব আছে, যা তোমরা পাঠ কর।
68-38 : তাতে তোমরা যা পছন্দ কর, তাই পাও?
68-39 : না তোমরা আমার কাছ থেকেকেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ কোন শপথ নিয়েছ যে, তোমরা তাই পাবে যা তোমরা সিদ্ধান্ত করবে?
68-40 : আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন তাদের কে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল?
68-41 : না তাদের কোন শরীক উপাস্য আছে? থাকলে তাদের শরীক উপাস্যদেরকে উপস্থিত করুক যদি তারা সত্যবাদী হয়।
68-42 : গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, সেদিন তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না।
68-43 : তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে; তারা লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে, অথচ যখন তারা সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল, তখন তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হত।
68-44 : অতএব, যারা এই কালামকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি এমন ধীরে ধীরে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাব যে, তারা জানতে পারবে না।
68-45 : আমি তাদেরকে সময় দেই। নিশ্চয় আমার কৌশল মজবুত।
68-46 : আপনি কি তাদের কাছে পারিশ্রমিক চান? ফলে তাদের উপর জরিমানার বোঝা পড়ছে?
68-47 : না তাদের কাছে গায়বের খবর আছে? অতঃপর তারা তা লিপিবদ্ধ করে।
68-48 : আপনি আপনার পালনকর্তার আদেশের অপেক্ষায় সবর করুন এবং মাছওয়ালা ইউনুসের মত হবেন না, যখন সে দুঃখাকুল মনে প্রার্থনা করেছিল।
68-49 : যদি তার পালনকর্তার অনুগ্রহ তাকে সামাল না দিত, তবে সে নিন্দিত অবস্থায় জনশুন্য প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত হত।
68-50 : অতঃপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন এবং তাকে সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন।
68-51 : কাফেররা যখন কোরআন শুনে, তখন তারা তাদের দৃষ্টি দ্বারা যেন আপনাকে আছাড় দিয়ে ফেলে দিবে এবং তারা বলেঃ সে তো একজন পাগল।
68-52 : অথচ এই কোরআন তো বিশ্বজগতের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।